কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে জেলের চার দেওয়াল থেকে মুক্তি পেলেন রোদ্দুর রায়। সমস্ত মামলা থেকে জামিন পেলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। সোমবারই জেলমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি। এর আগে গত ৯ জুন তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হলে জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। রোদ্দুর রায়কে আরও পাঁচদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। জানানো হয়, ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে। গত ১৫ জুন ফের আদালতে তোলা হলেও স্বস্তি মেলেনি। একটি মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় জেলবন্দিই ছিলেন তিনি। অবশেষে আজ স্বস্তি পেলেন ইউটিউবার।
যদিও শোনা যাচ্ছে, নিজের কৃতকর্মের জন্য ভিডিও তৈরি করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে রোদ্দুরকে। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই ভিডিও করে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে কিংবা ইউটিউব ভিডিও করে বিতর্ক তৈরি করেন রোদ্দুর। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন একাধিক বিশিষ্টজনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। যার জেরে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। এরপর তাঁকে গোয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে গারদের ওপারেই ছিলেন। তাঁর মোক্সাবাদ ও গানের গুঁতোয় বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন অন্যান্য জেলবন্দিরাও। অবশেষে আজ তিনি মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তিতে তাঁরাও।
এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন রোদ্দুর রায়। রবীন্দ্রনাথের গানকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত তরুণ প্রজন্ম। তাঁর শব্দপ্রয়োগের সমালোচনা করেও একাংশের দাবি, এভাবে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। মন্তব্য প্রকাশের অধিকার সকলের রয়েছে। সকলের থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে কেন রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি? প্রশ্ন তুলেছিলেন ভক্তদের একাংশ।