কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে সকাল সোয়া নটায় ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়ল উড়িষ্যার ডামরা পোর্ট এলাকায়। আর তার সঙ্গেই ঝড় এবং বৃষ্টির গতি বাড়ল দীঘা, শঙ্করপুর সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রবল ঝড়ে এবং বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছে বহু এলাকা। দীঘায় সমুদ্রের জল শহরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। বহু হোটেল, দোকান সমুদ্রের জল ঢুকে যাওয়ায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। দীঘার বহু পুরনো বাসিন্দারা বলছেন, যে ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে, তা সাম্প্রতিককালে এখানে হয়নি।


দীঘায় প্রায় পাঁচ মিটার এর উপরে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস চলছে। প্রবল ঝড়ে মন্দারমনিতে বেশ কিছু হোটেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি। যদিও ঘূর্ণিঝড় যেহেতু দিঘার কাছাকাছি এলাকায় উপকূলে আছড়ে পড়েছে, ফলে এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুরেই।


আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সকাল সোয়া নটার সময় যশ উপকূলে ঢুকেছে, পূর্ব মেদিনীপুর লাগোয়া উড়িষ্যায়। তার প্রভাবে আগামী প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তুমুল বৃষ্টি এবং ঝড় চলবে গোটা এলাকা জুড়ে। এর ফলে বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী তিন ঘন্টা দেখার পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। বর্তমানে রাজ্যের ১০ টি জেলায় ১৭ কোম্পানি সেনাকে নামানো হয়েছে। এখনো বহু এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হচ্ছে। কারণ জোয়ারের জল বাড়তে থাকায় তার মধ্যে এই ল্যান্ড ফলের কারণে সমুদ্রে এবং নদীতে ভয়ঙ্কর রকমের জল বেড়ে গিয়েছে। সেই ঝড়ো বাতাসের তোরে নদীর জল ঢুকে পড়ছে লোকালয়। ফলে কাঁচা বাড়ি থেকে শুরু করে বহু পাকা বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version