কলকাতা ব্যুরো: দীর্ঘদিন ধরে দলের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কাজ করে এসেছেন। তবুও বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। এই অবস্থায় ক্ষোভ, অভিমান খুবই স্বাভাবিক। আর সেই ক্ষোভ থেকেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির এক সদস্য। লখনউতে পার্টির সদর দপ্তরের সামনে গায়ে আগুন দিলেন তিনি। পথচলতি মানুষের চেষ্টায় তাঁকে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। ভোটের আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই বিড়ম্বনায় পড়েছে অখিলেশের দল। জানা গিয়েছে, সমাজবাদী পার্টির ওই সদস্যের নাম আদিত্য ঠাকুর। তিনি দলের আলিগড় শাখার একজন সক্রিয় সদস্য। রবিবার সকালে আলিগড় থেকে সটান চলে যান লখনউয়ের বিক্রমাদিত্য মার্গে, দলের সদর দপ্তরের সামনে। কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এই দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান পথচলতি মানুষজন। তাঁদের তৎপরতায় বেঁচে যান আদিত্য ঠাকুর। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। আদিত্যকে উদ্ধার করে আটকের পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনার যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আদিত্য অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমি এই মুহূর্তে এখানেই জীবন শেষ করে দেব। আমাকে জেলে ভরেও থামানো যাবে না। আমি বিচার চাই। তিনি এও অভিযোগ তোলেন, দল তাঁর অধিকারের প্রার্থীপদ কেড়ে নিয়েছে। ভোটের টিকিট তাঁর কাছ থেকে ছিনতাই করা হয়েছে।

আদিত্যর আরও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার মামলা নেই। তাহলে কেন দল তাঁকে ভোটে লড়াইয়ের সুযোগ দিল না? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ছরা কেন্দ্রটি থেকে সমাজবাদী পার্টির হয়ে ভোটের টিকিট পাবেন বলে খুব আশা ছিল আদিত্যর। সেই আশা চুরমার হওয়াতেই তাঁর আত্মহননের সিদ্ধান্ত। পুলিশি জেরায় তিনি এসব কবুল করেছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version