প্রাথমিক শিক্ষায় দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা। প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের রিপোর্টে রাজ্যকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার টুইট করে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকাভুক্ত হয়েছে বাঙালির দুর্গাপুজো। বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। 

শুক্রবার টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য দারুণ খবর! আমরা ‘Foundational Literacy & Numeracy Index’-অনুযায়ী দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছি। সকল শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষা দফতরের কর্মীদের অভিনন্দন জানাই।

উল্লেখ্য, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৫টি মানদণ্ডের নিরিখে এই মূল্যায়ণ করা হয়। সেখানেই ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি ও নিউমেরেসি সূচকে শীর্ষ স্থান দখল করেছে বাংলা। কিছুদিন আগেই, ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো দুর্গাপুজো। 

এবছর অগাস্ট মাসে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দিতে ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করে রাজ্য সরকার। বছর দুয়েক আগে বাঙালির এই উৎসবকে ‘মেগা ফেস্টিভ্যাল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। এমনকী,  ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’-র ভাবনা নজর কেড়েছিল ইউনেস্কো কর্তাদেরও। তাই গত বছর ফের ইউনেস্কোর দরজায় কড়ানাড়ে রাজ্য পর্যটন দফতর। তবে এই স্বীকৃতি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের এই প্রাপ্তি বাংলার জন্য নিঃসন্দেহে সুখবর। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version