কলকাতা ব্যুরো: সরকারির পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ‘ব্রাত্য’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে রাজ্যপালের বদলে আসতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী? সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। আইন সংশোধনের ভাবনায় নবান্ন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য করা হবে। তবে তার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে অর্থাৎ আইন সংশোধন করতে হবে। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদেও বদল করা হবে। রাজ্যপালের বদলে ওই পদে আসীন হবেন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, আইন সংশোধনের ভাবনায় রাজ্য সরকার।
গত ২০১৪ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন তৈরি হয়। ওই আইন অনুযায়ী, ভিজিটর পদে আসীন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য তলব করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে, সে সংক্রান্ত তথ্যও দিতে হবে ভিজিটরকে। ওই পদে রাজ্যপালকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবার সেই আইন সংশোধনেরই ভাবনায় নবান্ন।
রাজ্যের এই ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যপালকে অস্বীকার করার জন্য এই পদক্ষেপ। চরম নৈরাজ্য চলছে বাংলায়। রাজভবনও অধিগ্রহণ করতে পারে তৃণমূল।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা দেশের কাছে বাংলার মর্যাদা খর্ব হচ্ছে।
যদিও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বিরোধীদের পালটা জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা সব কিছু জেনেও অর্ধশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন। বিশ্বভারতীর আচার্য যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হতে পারেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না কেন? আর যাঁর মান থাকে, তাঁকেই অপমান করা যায়। রাজ্যপালের তা নেই। তাই অপমানের প্রশ্নও নেই।
তবে শুধু রাজনৈতিক মহলই নয়, রাজ্য সরকারের এই ভাবনায় মোটেও সন্তুষ্ট নন শিক্ষাবিদরাও।