কলকাতা ব্যুরো: বাদল অধিবেশনে হট্টগোলের জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন থেকে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিভিন্ন দলের ১২ জন সাংসদকে। সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। বুধবার সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এরপর রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করলো বিরোধী পক্ষ।
সোমবার সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন ৬ কংগ্রেস সাংসদ, এক সিপিএম সাংসদ, এক সিপিআই সাংসদ, এবং দু’জন শিব সেনা সাংসদ। এভাবে সাংসদদের সাসপেন্ড করায় বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখালেন মঙ্গলবার। যদিও কংগ্রেস ও তৃণমূলকে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গেল সংসদ ভবন চত্বরে।
কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন তোলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল বাদল অধিবেশনে, সেই ঘটনায় কীভাবে শীতকালীন অধিবেশনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়! যদিও ভেঙ্কাইয়া নাউডুর বক্তব্য, প্রয়োজনে হাউজ তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই পারে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আরও বলেন, গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও মনে আছে আমাদের। আশা করেছিলাম সংসদীয় নেতারা সেই বিষয়ে নিন্দা করবেন।
যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বক্তব্য মানতে চাননি বিরোধীরা। তাঁরা ১২ সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন এদিন। প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষদিন পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। সরকারপক্ষ তখন থেকেই এই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই অভিযুক্ত ১২ সাংসদের শাস্তির দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেই দাবি মেনেই ১২ জন সাংসদকে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।