কলকাতা ব্যুরো: বিরোধীদের হই-হট্টগোলে অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। তাঁর কথায়, বিরোধী সাংসদদের আচরণ তাঁকে অত্যন্ত যন্ত্রণা দিয়েছে। তিনি এতটাই কষ্ট পেয়েছেন, যে সারারাত তিনি ঘুমোতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের শোরগোলে মঙ্গলবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল সংসদের উভয় কক্ষ। রাজ্যসভায় পরিস্থিতি চরমে ওঠে বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভে ৷ কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া ও কয়েকজন সাংসদ আধিকারিকদের টেবিলে উঠে কালো কাপড় নাড়তে থাকেন ৷ এরপর নয়া কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনের দিকে বিক্ষুব্ধ সাংসদরা রুল বুক ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ ৷ টেবিলের উপরেই কেউ বসে ও কেউ দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ এর জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করে দিতে হয় অধিবেশন ৷
আর এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বুধবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। সংসদে দাঁড়িয়েই কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, “গতকাল যখন কয়েকজন সাংসদ টেবিলে উঠে বসেন, আবার টেবিলের উপরে চড়ে দাঁড়ান, তখনই এই কক্ষের যাবতীয় পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়৷” এই ঘটনা তাঁকে প্রবল যন্ত্রণা দিয়েছে বলে জানিয়ে বেঙ্কাইয়া বলেন, “খুব দুঃখ পেয়েছি, সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছি…আমার যন্ত্রণা বোঝাতে পারব না, সারারাত ঘুমোতে পারিনি…৷”
কৃষক আন্দোলন, পেগাসাস বিতর্ক, মুদ্রাস্ফীতি, করোনা পরিস্থিতি, টিকার অপ্রতুলতা-সহ নানা বিষয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে আগাগোড়া উত্তপ্ত ছিল সংসদের বাদল অধিবেশন ৷ বিরোধীদের হইচইয়ের কারণে বারবার মুলতুবি করে দিতে হয়েছে দুই কক্ষের কাজ ৷ এদিকে, তার মধ্যেও একের পর এক বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তা নিয়েও বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা ৷
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের দু’দিন আগেই বুধবার শেষ করে দেওয়া হয় লোকসভার বাদল অধিবেশন। বেলা সওয়া ১১ টা নাগাদ লোকসভায় বাদল অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, অধিবেশন চলার কথা ছিল ১৩ আগস্ট অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত।