কলকাতা ব্যুরো: লখিমপুর খেরির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। ঘটনার কড়া নিন্দা করে যোগী সরকার ও বিজেপিকে আক্রমণ করছেন বিরোধী দলের নেতারা। তবে রবিবারই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এবার অশান্তির জেরে নিহত চার কৃষক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করল যোগী সরকার।

জানানো হয়েছে, রবিবার অশান্তির ঘটনায় যে চারজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের পরিবারকে ৪৫ লাখ টাকা ও পরিবারের যে কোনও একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের ১০ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনায় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর দায়ের করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার লখিমপুরের খেরিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের আসা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। কিন্তু এসময় হঠাৎ করেই একটি গাড়ি বিক্ষোভরত কৃষকদের ধাক্কা দিতেই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে পড়ে। অভিযোগ কৃষকরা দু’টি এসিইউভি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সূত্রের খবর, গাড়িতে থাকা ৫ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে চার জন কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও তাঁর ছেলে আশিস কুমারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব হন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি গাড়িতে ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলে আশিস কুমার মিশ্র। তবে এই অভিযোগকে উড়িয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র ও তাঁর ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।

অন্যদিকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অখিলেশ যাদবকে। তাঁকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এদিন ভোরে আটক করা হয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও। এছাড়া পঞ্জাবে রাজ্যপালের বাড়ির সামনে বসে ধরনা দিতে গিয়ে আটক হন কংগ্রেস নেতা নভজিৎ সিং সিধুও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version