কলকাতা ব্যুরো: আম্পান দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিএজিকে হাইকোর্ট দায়িত্ব দেওয়ায় এই বাজারে রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে নতুন হাতিয়ার পেয়ে গেল বিরোধীরা। আম্পনের টাকা নয় ছয় ও স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিক্ষোভ থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় গণপিটুনি পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল।

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে ছিল যে কয়েক বছর আগে দেখা রেশন কেলেঙ্কারির কথাই মনে করছিলেন অনেকে। সে সময় যেভাবে গোটা রাজ্যজুড়ে রেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে ডিলারদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিস্ফোরণের আকার নিয়েছিল, তেমনভাবেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে জেলায় নিচুতলার নেতাদের বিরুদ্ধে আম্পানে ক্ষতির টাকা নিয়ে শুরু হয় আন্দোলন।

একসময় রাজ্য সরকার বেআইনিভাবে টাকা কেউ আত্মসাৎ করলে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়। তাতে আবার কিছু নেতা এলাকায় মারধরের ভয়ে চাপে পড়ে টাকা ফেরত দেন। কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আবার কেউবা লিখিত মুচলেকা দিয়ে ওই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। কেউবা আবার নিজের আত্মীয়কে অন্যায় ভাবে ওই টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। যদিও তা নিয়ে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ হয়নি।

এরপরেই আম্পানের আর্থিক দুর্নীতি ও স্বজন পোষণের অভিযোগে পাঁচটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন সিএজিকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার আম্পান তহবিলের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version