কলকাতা ব্যুরো: দেশ ছাড়ার প্রস্তাব এসেছিল আমেরিকা থেকে। তবে তিনি তা গ্রহণ করেননি বরং পাল্টা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। ভিডিয়ো বার্তায় ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, লড়াই তাঁরা জারি রেখেছেন। ইউক্রেনের অন্যান্যা প্রান্তের মতো এবার রাজধানী কিয়েভের দখল নিতেও তৎপর রুশ সেনা। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা সূত্রে, কিয়েভের একটি অংশে রুশ সৈনিকদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছে ইউক্রেন সেনা। রাস্তাতেই তারা স্ট্র্যাটেজিক পজিশন নিয়েছে।

শনিবার ভোররাত থেকেই রাজধানী কিয়েভের দিকে ঝড়ের গতিতে এগোতে চাইছে পুতিন সেনা। ফলে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে খবর। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে কিয়েভবাসীকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, রাস্তায় যুদ্ধ চলছে, বাসিন্দারা যেন নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে বাইরে না বের হন। রাজধানীর একাধিক জায়গা থেকে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। গোলাগুলি চলার শব্দও শোনা গিয়েছে।

এরই মাঝে খবর মিলেছে, পরিস্থিতি কঠিন হলেও দেশ ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার তরফে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল তিনি দেশ ছাড়তে চাইলে তাঁকে নিরাপদে বের করে আনা হবে কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে ভ্লাদিমির জানিয়েছেন, লড়াই চলছে, আমাদের অস্ত্র চাই, বাহন নয়। রাশিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তিনি যে হারের আগে পরাজয় স্বীকার করতে রাজি নন, তা শুক্রবার রাতেই এক ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেই বার্তায় তিনি বলেছিলেন, আমরা সবাই এখানে আছি। সেনা বাহিনী আছে, দেশের মানুষ আছেন। দেশ বাঁচানোর, স্বাধীনতা বাঁচানোর লড়াই করছি আমরা।

শনিবার সকালে আর একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। সেখানেও দেশবাসীর মনোবল বাড়াতে বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমরা অস্ত্র নামিয়ে আত্মসমর্পণ করিনি। আমরা দেশকে রক্ষা করব। আমি সেনা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছি বলে যে খবর রটছে, তা ভুয়ো।

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া আলোচনায় বসতে রাজি, তবে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে ইউক্রেন সেনাকে শুক্রবার এই বার্তা দিয়েছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। পরে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন সেনার কাছে আবেদন জানান, সরকার ফেলে যেন তারাই সে দেশের ক্ষমতা দখল করে। যদিও এরপরেও রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে ইউক্রেনের সেনা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version