কলকাতা ব্যুরো: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই দেশ তথা রাজ্যবাসী মেতে উঠবে দেবী দুর্গার আরাধনায়। তবে তার আগেই কলকাতায় বুধবার ঘটে গেলো চরম দুর্ঘটনা। আহিরীটোলায় বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে রয়েছে এক বছরের একটি শিশু ও এক প্রৌঢ়া। আজ সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ৯ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আটকে পড়েন শিশু-সহ ১৭ জন। প্রথমে দেওয়াল ভেঙে কয়েকজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পুলিশ, দমকল ও এনডিআরএফ-কে সঙ্গে নিয়ে এক দম্পতি, তাঁদের ২ বছরের শিশুকন্যা ও পরিবারের আত্মীয়া ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানীয় জোড়াবাগান থানা সূত্রের খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশু এবং তার দিদাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানেই এমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও চারজন। তাদের মধ্যে একজন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টির জেরে বুধবার ভোররাতে ১০ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটের একটি বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে৷ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভোর রাতের দিকে তাঁরা কোনও কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ পান৷ প্রথমদিকে তাঁরা আমল দেননি। পরে স্থানীয় দোকানদাররা বিষয়টি দেখতে পান। তারাই পুলিশে খবর দেন। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে যায় এক শিশু সহ বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন। রীতিমতো তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালায় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বাহিনী। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।