কলকাতা ব্যুরো: ইডির তলবে সাড়া। ছেলেকে কোলে নিয়ে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ১১টা নাগাদ ইডির দপ্তরে ঢোকেন তিনি। কয়লাপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তাঁকে।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, দিল্লিতে নয়, কলকাতায় জেরা করতে হবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে। সেই নির্দেশ মেনে বুধবারই চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা পুলিশকেও পাঠিয়েছিল চিঠি। এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে নিরাপত্তা ছিল আঁটসাঁট। পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে সিজিও কমপ্লেক্সের অন্যান্য অফিসেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে বিশেষ তদন্তকারী অফিসাররা কলকাতায় এসেছেন এদিন সকালে।
বেলা ১১টা ৮ মিনিট নাগাদ নিজের গাড়িতে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান অভিষেকপত্নী। কোলে ছিল তাঁর ছেলে আয়াংশ। উল্লেখ্য, কয়লাপাচার মামলায় এই প্রথমবার ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন রুজিরা। এর আগে তাঁকে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। সেই সময় বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি জানিয়েছিলেন, তাঁদের দুই সন্তানই ছোট। তাদের বাড়িতে রেখে রুজিরার পক্ষে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই কলকাতায় জেরার আরজি জানিয়েছিলেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী।
অভিষেক ও রুজিরায় আরজিকে প্রথমে মান্যতা দেয়নি ইডি। দিল্লি হাইকোর্টেও তাঁদের আর্জি খারিজ হয়েছিল। শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পান তাঁরা। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ দেয়, দিল্লিতে নয়, চাইলে কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন ইডির আধিকারিকরা।
তবে জেরা চলাকালীন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা দেখতে হবে কলকাতা পুলিশকে। আগে থেকে চিঠি দিয়ে জেরার বিষয়টি জানাতে হবে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে অভিষেক-রুজিরা বাড়িতে একাধিক সিবিআই হানা দিয়েছে। এমনকী, রুজিরার আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তাকারী সংস্থা।