কলকাতা ব্যুরো: ঘুমন্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি। জানলা দিয়ে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। শেষমেশ প্রাণও গেল তাঁর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দু’নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিষপুর গ্রামে। রাজনৈতিক কারণে খুন নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিহত প্রদীপ নায়েক, সন্দেশখালির জ্যোতিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জ্যোতিষপুর গ্রামের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি। বর্তমানে এনআরজিএস-এর সুপারভাইজার ছিলেন। রবিবার সন্ধেয় বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। খোলা ছিল জানলা। অভিযোগ, জানলা দিয়ে ঘুমন্ত তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। তৃণমূল নেতার কান এবং চোয়ালে গুলি লাগে।
গুলির শব্দে জড়ো হয়ে যান পরিারের অন্যান্যরা। তৃণমূল নেতাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়। বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। এরপর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়।
সন্দেশখালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে পারিবারিক বিবাদে একজন খুন হন। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। দেড়মাস জেলেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সদ্যই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপরই তাঁকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।
কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অতীতের খুনের ঘটনার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীকে। এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়েছে। ঠিক কী কারণে ওই তৃণমূল নেতাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না তাঁর পরিবারের লোকজনও।