কলকাতা ব্যুরো: ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বিভ্রান্তিকর’ পোস্ট রুখতে কঠোর তৃণমূল কংগ্রেস। এই ধরনের পোস্ট তৃণমূল কোনওভাবেই সমর্থন করে না, তা সাফ জানালেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, এই পোস্ট বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাই অবিলম্বে তা সরিয়ে নিতে হবে। পোস্ট না সরালে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। দেবাংশুর স্পষ্ট অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, প্রয়োজনে বিধানসভার চেয়ে দ্বিগুণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। দেবাংশু এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৮’র পুনরাবৃত্তি হলে ২০২৯-এরও হবে। দলের মুখে কালি লাগতে দেবেন না – এই আবেদনও জানিয়েছেন দেবাংশু। পুরভোটের আগে দেবাংশুর পোস্ট যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
দেবাংশুর পোস্টের পরই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ আই সাপোর্ট ওয়ান পার্সন ওয়ান পোস্ট ইন এআইটিসি (#ISUPPORTONEPERSONONEPOSTinAITC)। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সমর্থনে ছাত্র যুব সংগঠনের অনেককেই একই পোস্ট করতে দেখা যায়। সুদীপ রাহা, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের মতো তরুণ ব্রিগেডের অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলের কভারও রাতারাতি বদলে যায়।
তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। সে প্রসঙ্গে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ক্যাম্পেন হচ্ছে এটা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস অনুমোদন করে না। নেত্রীর মুখে যে কথা বসানো হচ্ছে তারপরেও চার লাইন বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় যা সিদ্ধান্ত তা চেয়ারপার্সনই নেবেন। এই পোস্ট দলের স্বার্থে নয়। দলের স্বার্থে, দলের ভিতরে কথা বলতে হবে। জনসমক্ষে কথা বললে দলের ভাল হয় না।
অবিলম্বে এই পোস্টগুলি সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। না সরালে দলীয় কমিটি যে ব্যবস্থা নিতে পারে, স্পষ্ট সেকথাও জানান ফিরহাদ।