কলকাতা ব্যুরো: চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের দখল থাকবে কার হাতে? এই নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। কোভিড বিধি উপেক্ষা করেই সোমবার প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন চিড়িয়াখানার সামনে। দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রচুর পুলিশ সেখানে ছুটে গেলে, তাঁরাও আহত হন। এদিন জোর করে চিড়িয়াখানায় কর্মী সংগঠনের অফিস থেকে বিজেপির পতাকা নামিয়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের ঘোষণা, আজ থেকে তাঁরা চিড়িয়াখানায় নিজেদের ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করলো। 

জানা গিয়েছে, আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠন এতদিন ছিল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের হাতে। সেখানে তাঁর গোষ্ঠী গোটা ইউনিয়নের কাজ চালাত। সোমবার আচমকাই সেই ইউনিয়নের দখল নিতে চিড়িয়াখানার সামনে জমায়েত করেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। খবর পেয়ে পৌঁছন প্রচুর বিজেপি সমর্থকও। দু’পক্ষ মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরই ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে চিড়িয়াখানা চত্বরে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার।  

অন্যদিকে কোভিড বিধি উপেক্ষা করে এতজন জমায়েত করেছে, এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে জখম হন এক মহিলা পুলিশকর্মী-সহ বেশ কয়েকজন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা জোর করে  চিড়িয়াখানার গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে, ইউনিয়ন অফিস থেকে বিজেপির পতাকা খুলে নিয়েছে, বদলে নিজেদের পতাকা লাগিয়েছে।

বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে ইউনিয়নের  জবরদখল নিয়েছে। কিন্তু কর্মীরা সকলেই বিজেপির ছত্রছায়ায় রয়েছেন। ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে দমানো যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন INTTUC’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাকেশ সিংয়ের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ইউনিয়নের অনেক কর্মী আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন জানান। আমরা অনুমোদন দিই। তারপর আজ আমাদের কর্মীরা সেখানে গিয়ে সংগঠন খুলেছেন। এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া দ্রুতই সেরে ফেলব আমরা। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version