কলকাতা ব্যুরো: পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে শ্রীনগরে খতম আরও এক জঙ্গি। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট তিনজন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তাবাহিনী ৷ পুলিশের দাবি, শ্রীনগরে যে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তাকে ফিঁদায়ে (আত্মঘাতী) হামলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল কিন্তু, পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক ভেস্তে যায়।
কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানানো হয়েছে, শুক্রবার শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় মুজাহিদীন গাজওয়াতুল হিন্দের ওই সদস্যকে খতম করা হয়। এছাড়া, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলে তাতে দুই সন্ত্রাসবাদীর প্রাণ যায়। নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদীনের এক ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডারও রয়েছে।
পুলিশের দাবি, শ্রীনগরে যে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, সে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া পুলওয়ামা হামলার অন্যতম এক অভিযুক্তের আত্মীয়। নিহত ওই জঙ্গির নাম আমির রিয়াজ। টুইটারে একথা জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।
পুলিশ সূত্রে জানা খবর, শ্রীনগরের বেমিনা এলাকার হামদানিয়া কলোনিতে গুলির লড়াই শুরু হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। আর তাতেই মেলে সাফল্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে রাইফেল-সহ কিছু পরিমাণে গোলা, বারুদ উদ্ধার করা হয়। সেখানেই মেলে ওই আত্মঘাতী জঙ্গির মৃতদেহ। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য হাতে এসেছে, সেই অনুযায়ী, নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত হিজবুল কমান্ডারের নাম শিরাজ মোলভি। আর অন্যজনের নাম ইয়াবর ভাট। পুলিশের দাবি, ২০১৬ সাল থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে শিরাজ। তার কাজ ছিল, তরুণদের জেহাদে টেনে আনা। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে বহু সাধারণ নাগরিকের খুনের ঘটনাতেও জড়িত ছিল সে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করে উচ্ছ্বসিত নিরাপত্তাবাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার এই ঘটনাকে তাঁদের বড় জয় বলে দাবি করেছেন। সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছিলেন বাহিনীর সদস্যরা। সেই সময়েই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাতভর সংঘর্ষের পর মেলে সাফল্য। প্রাণ যায় তিন জঙ্গির।