কলকাতা ব্যুরো: কয়লা পাচার (Coal Scam) কাণ্ডে ধৃত ইসিএল-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, সুভাষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কয়লা পাচার (Coal Scam) সংক্রান্ত অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। তাতে তদন্তের গতি বাড়বে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি মেনে তাই ধৃতের তিনদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, আগেই এই ঘটনায় ইসিএল-এর সঙ্গে যুক্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতদের মধ্যে সংস্থার একাধিক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। শুক্রবার সেই তালিকায় আরও একজনের নাম যুক্ত হয়। উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতায় সিবিআই-এর দফতর নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাবাদের জন্য তলব করা হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের দাবি, একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সুভাষ। তাঁর বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতিও পাওয়া গিয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

সূত্রের খবর, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত অণ্ডাল এবং কাজোড়া এলাকা একটা সময় কার্যত বেআইনি কয়লা উত্তোলনের (Coal Scam) মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল৷ কখনও বেআইনি খনি খুঁড়ে, আবার কখনও ইসিএল-এর খনি থেকেই দেদার কয়লা চুরি চলতো৷ এর সঙ্গে ইসিএল-এর কর্মী ও আধিকারিকদের একাংশ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। মোটা টাকা কমিশনের ভিত্তিতে তাঁরা এই অনিয়মে মদত দিতেন বলে দাবি সূত্রের।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বছর ধরে ইসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার পদে আসীন ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সেই পদাধিকার বলেই কয়লা পাচারে মদত দিতেন তিনি। ২০২০ সালে সুভাষের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই অভিযানে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় ৷ পরবর্তীতে একাধিকবার সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সুভাষকে। শেষমেশ শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version