কলকাতা ব্যুরো- ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী মদত রয়েছে। তদন্ত কিছুদূর অগ্রসর হতেই জানা গেল, দূতাবাসের সামনে ঘটা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জইশ-উল-হিন্দ নামের এক সংগঠন। এরপরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরান যোগের এক চিঠি হাতে আসে গোয়েন্দাদের। যেখানে স্পষ্ট কথায় গোটা গোটা অক্ষরে লেখা রয়েছে, ‘এই বিস্ফোরণ শুধুই একটা ট্রেলার ছিল।’ অন্যদিকে এই বিস্ফোরনকান্ডের মাঝেই ভারতের উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করলেন ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে ঘটা বিস্ফোরণের তদন্তে থাকা ভারতীয় তদন্ত সংস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর। এর সাথে জানিয়েছেন, ভারতের সরকার যে ইজরায়েলি নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখবে সেই বিষয়ে তিনি একশো শতাংশ নিশ্চিত।

শুক্রবার বিকেলে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় প্রাণহানির কোন খবর পাওয়া যায়নি। ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রণ মালেকা জানিয়েছেন, দূতাবাসের ভিতরে সমস্ত কর্মী সুরক্ষিত রয়েছেন। তবে এই ঘটনার একদিনের মাথায় একটি চিঠি উদ্ধার করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিকভাবে টেলিগ্রামে একটি সন্দেহভাজন চ্যাট খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থা। সেখানেই জিশ-উল-হিন্দ নামে এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই বিস্ফোরণের উল্লেখ করে। পরবর্তী সময়ে এই বিস্ফোরণ কান্ডের সাথে ইরান যোগের একটি চিঠি হাতে আসে গোয়েন্দাদের। সেই চিঠিতে ইরানের জেনারেল সেলেমানির মৃত্যু প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়েছে। তারপর থেকেই দিল্লিতে অবস্থিত সমস্ত ইরান নাগরিকদের তথ্য যাচাই পর্ব শুরু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা শূন্য হলেও কুটনৈতিক দিক থেকে এই ঘটনার গুরুত্ব অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গাবি আশকেনাজির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ভারত অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। ঘটনার জেরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে দিল্লিতে। নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে বিমানবন্দরেও। অন্যদিকে এই বিস্ফোরণের জেরে আপাতত স্থগিত হয়েছে অমিত শাহের বঙ্গসফর।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version