মৈনাক শর্মা

করোনার ফলে বিপুল ক্ষতির মুখে ভারতীয় অর্থনীতি। প্রায় প্রতিটি সেক্টরই দেখা গেছে ক্ষতির হিসেব। তারই সাথে বেড়েছে করের বোঝা। এই প্রথম দেশে বাণিজ্য করের তুলনায় অনেক বেশী বেড়েছে আয়কর। অন্য দিকে এই আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে বেড়ে চলেছে কালো টাকা। সুইস ব্যাংকের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, সেই ব্যাংকে ভারতীয়দের জমানো টাকার সংখ্যা ২০,৭০০ কোটি।

সুইস ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দুনিয়াতে টাকা জমানোর নিরীখে ভারত অন্যতম। সুইজ সেন্ট্রাল ব্যাংকের পেশ করা অ্যানুয়াল রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৭০০ কোটির মধ্যে ৪০০০ কোটি কেবল মাত্র কাস্টমার ডিপোজিট হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় চার হাজার কোটি রয়েছে ব্যাক্তিগত অর্থ। ১৩,৫০০ কোটি টাকা মূল্যের রয়েছে security bond ও অন্যান্য অর্থিক লেনদেন। সুইজ সেন্ট্রাল ব্যাংকের আওতায় রয়েছে ২৪৩ ব্যাংক। মোট অর্থের ৩১০০ কোটি টাকা রয়েছে সুইজারল্যান্ডে অন্যান্য ব্যাংকে। যা গত ১৩ বছরের তুলনায় বেশি।
প্রতি বছরই নিজের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করে সুইজ সেন্ট্রাল ব্যাংক। ২০১৮ সালে টাক্সে ফাঁকি ও কালো টাকার খোঁজের জন্যে ভারত ও সুইস সরকারের মধ্যে অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অফ ইনফরমেশন ইন টাক্স নীতিতে সম্মতি হয়। যার ফলে ভারতীয়র নাগরিকদের লুকানো টাকার হিসেব সহজেই পায় দিল্লির সরকার।

এই তথ্য সামনে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। কারণ ২০১৪ সালে সুইস ব্যাংক থেকে কালো টাকা দেশে ফেরাবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির কাছে সমস্ত তথ্য থাকার পড়েও কেনো দেশে ফিরছে না ওই টাকা, উঠছে প্রশ্ন। টাকা ফেরত আনার আশ্বাস স্রেফ ভোটের লাড্ডু বলেও বিজেপিকে কটাক্ষ করে বিরোধীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version