তালিবান কাবুল দখল করার পরই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি। আপাতত আফগানিস্তানের কোনও সরকার নেই। তাই দ্রুত সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান। এরই মধ্যে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করল তালিবানের প্রতিনিধিদল। তালিবানের উপ সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা আনাস হাক্কানি এ দিন দেখা করেছেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।

তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবারের ওই বৈঠকে হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে পুরাতন সরকারের শান্তিদূত হিসেবে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন৷ প্রসঙ্গত, তালিবানের কাবুল দখলে এই হক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গি সংগঠন প্রধান ভূমিকা নিয়েছে ৷ এই জঙ্গি সংগঠন মূলত পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আফগানিস্তানে বড় নাশকতামূলক হামলার পিছনে এই তালিবানের এই হক্কানি নেটওয়ার্ক যুক্ত ছিল ৷


অন্যদিকে, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনকে পুরোদমে কায়েম করতে, মঙ্গলবার কান্দাহার পৌঁছান তালিবানের ডেপুটি লিডার মোল্লা আব্দুল গনি বারাদর৷ দোহায় তালিবানের রাজনৈতিক দফতরের সদস্য মৌলবি খাইরুল্লা খাইরখওয়া এ কথা জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, মোল্লা আব্দুল গনি বারাদর সহ মোট ৮ জন তালিবানি শীর্ষ নেতা মঙ্গলবার কাতার থেকে কান্দাহার পৌঁছে গিয়েছেন৷ তাঁরা সেখান থেকে কাবুল যাবেন এবং তালিবানি রাজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করবে ৷

এই পরিস্থিতির আফগানদের পুনর্বাসনের কথা ঘোষণা করলো ব্রিটিশ সরকার ৷ যে সকল আফগান নাগরিক শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য আফগানিস্তান ছাড়তে চায়, তাঁদের ইংল্যান্ড সরকার পুনর্বাসন দেবে বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৷ আজ তিনি নিজে টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন ৷ যেখানে তিনি বলেছেন, আফগান নাগরিকদের প্রতি তাঁর দেশের একটি অঙ্গীকার রয়েছে ৷ আর তাঁরা তা পালন করতে পেরে সম্মানিতবোধ করছেন ৷


ইংল্যান্ড সরকারের তরফে আজ এ নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, পুনর্বাসন চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানের শরণার্থীদের ইংল্যান্ডে আশ্রয় দেওয়া হবে ৷ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যে সব আফগান নাগরিক বাধ্য হয়ে নিজেদের দেশ ছাড়ছেন, প্রথম বছরে তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার জনকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে ইংল্যান্ডে ৷ এর পর দীর্ঘ সময়ের জন্য ধীরে ধীরে মোট ২০ হাজার জনকে আশ্রয় দেওয়া হবে ৷

এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটে লিখেছেন, ‘‘আমরা নতুন পুনর্বাসন প্রকল্পে নিরাপদে এবং আইনের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে প্রবেশের রাস্তা করে দেব ৷ যাতে সবাই নিরাপদে ইংল্যান্ডে এসে থাকতে পারেন ৷’’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version