কলকাতা ব্যুরো: দেড় ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করলেন জওয়ান। ওই CISF জওয়ানের থেকে একটি AK-47 বন্দুক পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে ধরতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং টর্চ হাতে জাদুঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।

এছাড়াও ভিতরে প্রবেশ করেছিল কলকাতা পুলিশের বিশাল কমব্যাট ফোর্স। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অপারেশন চালিয়ে অবশেষে বন্দুকবাজ জওয়ানকে বাগে আনতে সক্ষম হলেন তাঁরা।

জাদুঘরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান শেষে দিল্লির বাসভবনে ফিরেই ঘটনার বিষয়ে বিশদে খোঁজ নেন তিনি। দিল্লি থেকেই ফোনে কথা বলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। গোটা ঘটনার মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই দিল্লি সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই শহরে এই গুলিচালনার ঘটনায় চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, ওই বন্দুকবাজ CISF জওয়ান ওডিশার ঢেঙ্কানলের বাসিন্দা। নাম অক্ষয় কুমার। CISF-এর এই হেড কনস্টেবলের গুলিতে নিহত হয়েছেন তাঁরই সহকর্মী ASI আরকে সারঙ্গি। তিনিও ওডিশার বাসিন্দা ছিলেন। একইসঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন AC সুবীর ঘোষ। সহকর্মীকে হত্যার পরও সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত অবস্থায় দেখা যায় ওই বন্দুকবাজ জওয়ানকে। আত্মসমর্পণের পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে হাত নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু, কী কারণে তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনওভাবে তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version