কলকাতা ব্যুরো : দলের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। ফাটল ও চওড়া হচ্ছে। ধীর লয়ে আরম্ভ করেছিলেন যাত্রা। দাদার অনুগামীদের পোস্টার পড়েছিল মেদিনীপুর শহর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রশমন করতে সটান অধিকারী বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাতে কি কিছু হল ? মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রশান্ত এবং অধিকারী পরিবার।
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তার কাজকর্মে, চলনে বলনে, ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি সন্তুষ্ট নন। অসন্তোষের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে। নাম না করে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা শুভেন্দু কে বিধছেন। সভা করে বিভিন্ন জায়গায় তার জবাব দিচ্ছেন শুভেন্দু। জল কতদূর গড়াবে তা আর কিছুদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এদিকে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ১৯ শে নভেম্বর তার নিজের জেলার রামনগরে মেগাশো করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় আন্দোলন কে সামনে রেখে তার এই মেগাশো গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক চর্চার বিষয়। রাজনৈতিক মঞ্চ ব্যবহার করে তার একের পর এক সভা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অবশ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ” এসব তৃণমূলের ব্যাপার। মানভঞ্জন থেকে খুনোখুনি এসব তৃণমূলের অন্দরে চলছে। তৃণমূলের ভেতরের অবস্থা ভালো না। সাধারণ মানুষের থেকে তৃণমূল দূরে সরে যাচ্ছে। তাই দলের নেতারাও আর দলে থাকতে চাইছেন না। ভেতরের রোগ টা বাইরে বেরিয়ে আসছে।”
তবে চলতি সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারীর মেগা শো নিয়ে যে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে তা বলা বাহুল্য। অনুষ্ঠান হবে রামনগরের আর এস ময়দানে। শুভেন্দু জানিয়েছেন, ” ওখানে অনেক সময় পাওয়া যাবে। তখন যা কিছু বলার বলব। শুভেন্দু আরও বলেন রামনগর নিয়ে বলার জন্য অনেকেই আমাকে বলেছেন। কিন্তু যা বলতে হয় তা করতে নেই। আর যা করতে হয় তা বলতে নেই।
উল্লেখ্য রামনগর এর বিধায়ক অখিল গিরির শুভেন্দুর সঙ্গে সম্পর্কটা একেবারেই ভাল যাচ্ছেনা। গিরি ও শুভেন্দু সম্পর্কে মন্তব্য করতে ছাড়েননি। অখিল গিরি জানিয়েছেন, তৃণমূল দল সাতদিনের চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী কে। উনি ওনার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট না করলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে দল। এর আগেও অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে ওই নেতা তোপ দেগেছেন। নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। এবার তার এলাকাতেই বিশাল সমাবেশের ডাক দিল শুভেন্দু অধিকারী।