কলকাতা ব্যুরো: শেষ পর্যন্ত বিধ্বংসী সাইক্লোনের দাপট এড়ানোর সুযোগ ক্রমশ কমছে বাংলায়। আম্পানের এক বছর পর নতুন করে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে শনিবার দুপুর থেকে। রবিবার সকালের মধ্যে এর গভীরতা কতটা বাড়ছে তা আরো স্পষ্টভাবে জানা যাবে। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নিম্নচাপের গতিবিধি দেখে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৪ মে অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যে থেকে বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যজুড়ে।
All officials have been advised integrated command, advance planning & early evacuation from coastal & riverine areas to rescue shelters including cyclone & flood shelters, and to conduct relief and rehabilitation operations at the earliest.(2/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 22, 2021
Fishermen have been alerted to immediately return. 24×7 control rooms have been set up (Ph No – 1070 & 033-22143526). All agencies have been asked to spring into action. Relief materials have been dispatched & Quick Response Teams are mobilised.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 22, 2021
I request all to stay alert.(3/3)
মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার পাশাপাশি কলকাতা থাকবে এই নিম্নচাপের এলাকার মধ্যে।সোমবার রাত থেকেই ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার গতি আরো বাড়বে। সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার দিন যত গড়াবে হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আর ওই দিন সন্ধ্যায় গভীরতা বাড়লে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হাওয়ার দাপটে তাণ্ডব চালাতে পারে যশ। ফলে করোনা আবহে নিম্নচাপ নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা তৈরির যথেষ্ট কারণ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা দিয়েছে। আবহবিদরা মনে করছেন, এখনো পর্যন্ত যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে আম্পানের মত না হলেও, দীর্ঘমেয়াদী ঝড় মঙ্গলবার সন্ধ্যে থেকে শুরু হবে। যা পরবর্তী প্রায় ১২ ঘণ্টা অবস্থান করবে রাজ্যের মধ্যে।
এর ফলে মূলত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্র উপকূলের জেলাগুলিতে বজ্রপাত এবং ঝড়ের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কলকাতাতেও অন্তত ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বইতে পারে বলে এখনও পর্যন্ত মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি দীঘা থেকে কাথির মধ্যে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই এলাকার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বঙ্গোপসাগর লাগোয়া এলাকাতেও প্রবল ঝড়-ঝঞ্ঝার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় মূলত তিন জেলার সঙ্গেই কলকাতা শহরে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আগাম সর্তকতা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিনও দফায় দফায় নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন জেলাগুলির অফিসারদের সঙ্গে। কলকাতা শহরের এন ডি আর এফ টিম রাখা হয়েছে। একদিকে হলদিয়া, অন্যদিকে সাগরেও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে।