কলকাতা ব্যুরো: সোমবার দুপুরেই ভুল প্রশ্ন মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হাইকোর্ট বলেছে, ‘যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করুন। এখনই সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে শূন্যপদগুলি তৈরি হলে সেখানে নিয়োগ করুন। এই চাকরিপ্রার্থীরা কতদিন আর লড়াই করবে!’ আর দিন শেষ হতে না হতেই বড় সিদ্ধান্ত নিলো নবান্ন। সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে নতুন করে শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়লো। 

প্রসঙ্গত, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন জানিয়েছেন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহে ৩১৭৯ শূন্যপদ তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এর পাশাপাশি ৩৯২৫ শূন্যপদ শীঘ্রই পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে অর্থাৎ ৭ হাজারের অধিক পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। 

এদিন মন্ত্রীসভায় রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগণা মিলিয়ে ৩ হাজার ৯২৫টি শূন্য পদে শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে। এই দুই জেলাতেই ৩ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের পদ তৈরির প্রস্তাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে মন্ত্রীসভার বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন রাজ্যে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, পুজোর আগে নেওয়া হবে ১৪ হাজার আপার প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১০ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক। পুজোর পর মার্চের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। মোট ৩২ হাজার নিয়োগপত্র দেবে রাজ্য সরকার।

জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে যে প্যানেল পাশ হয়েছিল এবং নিয়োগ স্থগিত ছিল সেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত এদিন নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। যদিও অনেকের বক্তব্য ২০০৯ সালের চাকরীপ্রার্থীদের বড় অংশ দক্ষিন ২৪ পরগণায়। তবে সেই জেলার কথা এদিন সরকারের তরফে বলা হয়নি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version