কলকাতা ব্যুরো: দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানা এলাকায় একই পরিবারের পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল রবিবার সকালে। পরিবারের ছেলে অনু বর্মনের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মা, স্ত্রী এবং দুই নাবালিকা মেয়ের দেহ ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় বাড়ির মধ্যে। এমন নৃশংস ঘটনায় গোটা জেলা হতবাক। পুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এতগুলি মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি পুলিশ।

অনু বর্মনের হার্টের কিছু সমস্যার ধরা পড়ায় কয়েক মাস আগে তিনি ভেলোরে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফিরে আসার পর বাড়িতেই থাক ছিলেন। এদিন সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির দরজা খোলা অবস্থায় দেখে সন্দেহ হয়। উঁকি মেরে এমন নৃশংস ঘটনা দেখতে পান। পুলিশ দেহ গুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে অনু বর্মন। কিন্তু সে জন্য তিনি পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা।

যদিও পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। পরিবারের অন্য চারজনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অনু বর্মন খুন করেছে কিনা এমন একটি প্রশ্ন উঠলেও, পুলিশ তা এখনো নিশ্চিত করেনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version