কলকাতা ব্যুরো: সোনা, হীরের কোটি টাকার অলংকার হাতিয়ে ট্রেনে করে পালান চোরকে পাকরাও করতে বিমানে উড়ে এলো পুলিশ। আগে পৌঁছে পুলিশ হাওড়া স্টেশনে যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস থেকে নামা ওই ব্যক্তিকে বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হিরে এবং সোনার গয়না। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি তিন লক্ষ টাকা। কৈলাস দাস নামে অভিযুক্ত আদতে বর্ধমানের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি গত ছ বছর ধরে ব্যাঙ্গালোরের জেপি নগর এলাকায় এক ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের পরিচারক হিসেবে কাজ করছিলেন।
তিনি ওই বাড়ির নীচের তলায় একটি ঘরে থাকতেন। সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ওই বাড়িতে। ৯ অক্টোবর ওই বাড়ির এক ব্যক্তির করোনা ধরা পড়ে। ফলে পরিবারের সকলেই তাকে নিয়ে যখন ব্যতিব্যস্ত, ঠিক সেসময় সেই বাড়ির আলমারি থেকে একটি ইলেকট্রনিক সেপ হা তিয়ে নিয়ে কেটে পড়ে কৈলাস দাস। প্রথমে সেটি নিয়ে অভিযুক্ত মহীশূর চলে যায়। সেখানে গিয়েই ওই সেফটি লকার টি খোলার চেষ্টা করে। কেননা সে জানতো ওই টার মধ্যেই হিরে এবং সোনার গহনা রাখা আছে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সেটি খুলতে পারেনি অভিযুক্ত।
শেষ পর্যন্ত সেই সেট নিয়ে সে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ছ ক করে। ফলে সেখান থেকে ফের বেঙ্গালুরু ফিরে যায়। যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস ধরে হাওড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।
এরই মধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। ওই পরিবার জেপি নগর থানায় ওই পরিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে প্রতিটি সিসিটিভি তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখে। স্টেশনের সিসিটিভি থেকে দেখা যায়, তাঁকে ট্রেনে উঠতে। আর দেরী করেনি পুলিশ। সেদিনই পুলিশ বিমানে আগেই পৌঁছে যায় কলকাতায়। আর রবিবার সকালে হাওড়া স্টেশনে জাল পেতে বসে থাকে। যশোবন্তপুর এক্সপ্রেস স্টেশন ঢুকতেই পুলিশ তাঁকে ঘিরে ধরে। যদিও পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিল ওই অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে নিয়ে ফের বেঙ্গালুরুতে চলে যায়।