কলকাতা ব্যুরো: পর্যটক মহলের দাবি মেনে বুধবার থেকেই খুলে গেল রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্ক। প্রায় সাড়ে চার মাস পর পুনরায় খোলা হলো বেঙ্গল সাফারি পার্ক-সহ রাজ্যের অন্যান্য চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্ক। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে খুশির হাওয়া পর্যটন মহলে।
রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বন দফতর এবং জু অথরিটি। কিন্তু চলতি মাসে করোনার গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় এবং পুজো এসে পড়ায় পর্যটন শিল্পের কথা মাথায় রেখে ফের একবার অভয়ারণ্য এবং সাফারি পার্ক-সহ রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বুধবার বেঙ্গল সাফারি পার্ক খুলতেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা । তবে অবশ্যই কোভিড প্রোটোকল বা করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। স্থানীয়রা তো বটেই মালদা, কোচবিহারের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকেও আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এর আগে উত্তরের পর্যটন শিল্পের হাল ফেরাতে টয়ট্রেন পরিষেবা, ভিস্তাডোম স্পেশাল ট্রেন এবং বন দফতরের অধীনে থাকা সমস্ত উদ্যান ও পার্কগুলি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর এবার চিড়িয়াখানা এবং সাফারি পার্কগুলো খুলে দেওয়ায় পুজোর সামনে ওই সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে কেন্দ্র করে উত্তরে পর্যটকের ঢল নামবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
উত্তরের পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিক্যাল পার্ক এবং শিলিগুড়ি সংলগ্ন বেঙ্গল সাফারি পার্ক। বরাবরই এই দুই স্থানে পর্যটকদের ভিড় থাকে। সবথেকে বেশি পর্যটকদের ঢল নামে পুজোর মরসুমে। পুজোর মুখে ওই দুই পর্যটন কেন্দ্র দু‘টি পুনরায় চালু হওয়ায় করোনার ফলে ক্ষতি হওয়া পর্যটন শিল্প কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের। পুজোর মুখে পুনরায় সাফারি পার্ক চালু হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই লাঘব হবে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলেন, “করোনার জেরে দীর্ঘ কয়েক মাস ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। আর বেঙ্গল সাফারি পার্ক খুলতেই পুজোর সামনে পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশাবাদী আমরা।