কলকাতা ব্যুরো: পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শাহবাজ শরিফ। সোমবার দুপুরেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে  প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। অপেক্ষা ছিল শুধু শপথ গ্রহণের। সোমবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়ে ফেললেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখলেন, শুভেচ্ছা। শান্তি, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলের আশায় থাকবে ভারত।

উল্লেখ্য, এদিন দুপুরেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমস্ত সদস্যকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন ইমরান খান। ফলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভোটাভুটির দরকার ছিল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। সোমবার দুপুরে পাক সংসদে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই পদ ছাড়েন ইমরান খান। ইস্তফা দেন তাঁর দলের সকল সাংসদ। বলেন, দাগী সাংসদদের সঙ্গে বসবেন না। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহ মদম্মদ কুরেশির নাম মনোনীত করলেও, ভোটাভুটি থেকে দূরেই থাকল পিটিআই। 

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন যে ব্যক্তি, তিনি শাহবাজ শরিফ। শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। তিনি আর কেউ নন, সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন পাঞ্জাবের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত দাদা দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পাক রাজনীতিতে শাহবাজের গুরুত্ব হু হু করে বেড়ে যায়। কারণ এরপর তিনিই পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে ওঠেন। মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন। এবার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পদে বসলেন তিনি। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version