কলকাতা ব্যুরো: প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শিলিগুড়ির ঐতিহ্যবাহী করোনেশন ব্রিজে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল একজনকে। কার্শিয়াংয়ে এসডিপিও মনোরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার যাকে আটক করা হয়েছিল, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সদুত্তর না পাওয়ায় শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় কোপ পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের উপরও। সেবক ফাঁড়ির ওসি ডালিম অধিকারীকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় এসেছেন নতুন ওসি তপন দাস।
বৃহস্পতিবার দিনেদুপুরে আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শিলিগুড়ির সেবক সেতু। বিকট শব্দ আর তীব্র ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। বিস্ফোরণে দাউদাউ জ্বলে ওঠা ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে জানা যায়, সেবকের করোনেশন ব্রিজে সিনেমার শুটিং চলছিল। শুটিংয়ের জন্যই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কিন্তু হেরিটেজ তকমা পাওয়া সেতুতে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এখানে এই ভয়াবহ দৃশ্য শুট করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও প্রযোজকদের দাবি, সম্পূর্ণ নিরাপত্তা মেনেই বিস্ফোরণের শুটিং করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারই শুটিংয়ের শেষ দিন ছিল।
আর তাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেবক ফাঁড়ির ওসিকে ক্লোজ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুটিং ইউনিটের এক সদস্যকে। এসডিপিও জানিয়েছেন, ধৃতের নাম চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুটিং ইউনিটের লোকাল ম্যানেজার বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগেও অনেক মামলা রয়েছে। জাতীয় সড়কের উপর বসে অবরোধ করা, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবার অনুমতি ছাড়া ঐতিহ্যবাহী সেতুতে শুটিংয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠল।