কলকাতা ব্যুরো: তামিলনাড়ুর ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার এক সেনাও। দার্জিলিঙের বাসিন্দা হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের মৃত্যু হয়েছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। তিনি CDS বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তরক্ষী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাহাড়ে। টুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিঙের তাগদা অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন সৎপাল। ছেলে বৈকাল রাইও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বুধবার সকালেই বাবার সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয় বৈকালের। বিমানে ওঠার আগে ছেলের ভিডিয়ো কল পেয়েছিলেন এই হাবিলদার। এরপরই সব শেষ। হাবিলদার পদে কর্মরত সৎপালের বয়স ৪১ বছর। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী হওয়ার সুবাদে দিল্লিতেই থাকতেন তিনি। দীপাবলীতে দার্জিলিংয়ের তাকদায় মালিধুরা গ্রামে এসেছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে এবং বাবা-মা রয়েছেন সৎপালের। এদিন সৎপালের মৃত্যুর খবর আসায় শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম।
অন্যদিকে, তামিলনাডুতে সেনা কপ্টার দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র জীবিত সেনাবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং বর্তমানে তামিলনাড়ুর উইলিংটন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বরুণ সিংহর দেহের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। শৌর্য চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উইলিংটন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সেনাবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহর সুস্থতা কামনা করে টুইট করেছেন।
বুধবার তামিলনাডুর সুলুর থেকে উইলিংটনে যাওয়ার পথে কাত্তেরি গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে CDS বিপিন রাওয়াতের কপ্টারটি। বুধবার বেলা ১২:৪০ নাগাদ নীলগিরির কাছে আচমকা ওই কপ্টার ভেঙে পড়ে। ওই হেলিকপ্টারেই ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের সঙ্গে তিনি সুলুর থেকে কুন্নুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, মাঝ আকাশে ঘটল বিপত্তি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভেঙে পড়ে ওই সেনা কপ্টার। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১৩ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকাও।