কলকাতা ব্যুরো: সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে ঊরুর ভেঙে যাওয়া হাড়ের অস্ত্রোপচার হতে পারে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। শনিবারে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এখনও বিপদ কাটেনি গীতশ্রীর। তবে আগের থেকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মুখে খাবার খেতে পারছেন তিনি। পাশাপাশি চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বর্ষীয়ান শিল্পী। তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যাও রয়েছে। সেই কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এখনও তাঁর হৃৎস্পন্দ‌ও অনিয়মিত। চিকিৎসকদের পরিভাষায় তাই গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে স্থিতিশীল বলা হলেও বিপন্মুক্ত বলা হচ্ছে না। কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে।

গত বৃহস্পতিবার আচমকাই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। গ্রিন করিডর করে প্রথমে এসএসকেএম ও পরে বাইপাস সংলগ্ন অ্যাপোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। জানা যায় তিনি তিনি কোভিড পজিটিভ। ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে, রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। এসএসকেএম ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে তড়িঘড়ি দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে অ্যাপোলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এসএসকেএমে উডবার্ন ইউনিটে একটি বিশেষজ্ঞ টিমও সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল। চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়কেও আনা হয় সেখানে। সবার সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা এগোচ্ছিল। চিকিৎসকরা জানান, হার্টে একটা ধাক্কা খেয়েছে। হার্টের একটা সমস্যা হয়েছে। পরে জানা যায় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। ওনাকে অ্যাপোলোতে স্থানান্তরিত করতে হয়।

উডবার্নে কোভিডের চিকিৎসা হয় না। তাই গ্রিন করিডর করে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্ধ্যার চিকিৎসার জন্য মোট পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে রয়েছেন কার্ডিওথোরাসিক ড. সুশান মুখোপাধ্যায়। কার্ডিওলজিস্ট ড. প্রশান্ত মণ্ডল। তাঁদের যৌথ নেতৃত্বে বোর্ডের অন্য তিন সদস্য চিকিৎসক হলেন জেনারেল মেডিসিন ড. শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পালমোনোলজিস্ট সুরেশ  রামাসুব্বন ও দেবরাজ যশ।  কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডের ২০২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গীতশ্রী। আপাতত কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে তাঁকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version