কলকাতা ব্যুরোঃ বিতর্ক সঙ্গেই ঘুরছেন সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার বার্নপুর এলাকায় প্রচার শুরু করতে গিয়ে বিবেকানন্দের মূর্তিতে তার মালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। স্থানীয় কিছু লোক নিজেদের বিবেকানন্দ জন্মোৎসব কমিটির মাতব্বর বলে দাবি করে সায়নীকে মূর্তিতে মালা দিতে বাধা দেয়। হীরাপুর থানার পুলিশ অবশ্য অতি সক্রিয় হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়। ফলে এই যাত্রায় সায়নীকে বেশি বাধার মুখে এখনো পরতে হয়নি। যা হয়েছিল প্রথমবার আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে বিজেপির তারকা প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে। তৃণমূল তাকে যেভাবে প্রতি পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছিল, এখনো পর্যন্ত শাসকদলের বিধানসভার তারকা প্রার্থীকে ততটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।


যদিও এদিন যারা তার পথ আগলে ছিলেন তারা বিজেপির স্থানীয় মাতব্বর বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। যদিও সায়নীকে তৃণমূল এখানে প্রার্থী করায় প্রথম থেকেই বার্নপুর দলের একটা অংশ তার বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে। ফলে তাদেরই কেউ বিবেকানন্দর মূর্তিতে ওই মাতব্বরদের পিছন থেকে ধোঁয়া দিচ্ছে কিনা তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। স্থানীয় বিজেপির এক নেতা বলেন, আমাদের কিছু করতে হবে না। ওরা নিজেদের গোলমালেই নিজেরা বিরম্বনায় পড়বে।

আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী অপছন্দ হওয়ায় দিন দুয়েক আগে বার্ণপুরের তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা সায়নীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন। এদিন প্রথমে বাধা এলেও পুলিশ তালা ভেঙে বার্নপুর টাউন মোড়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে প্রার্থীর মালা দেওয়ার ব্যাবস্থা করে। এরপর প্রচার শুরু করেন সায়নী ঘোষ। বার্নপুর শহরে মিছিল করে সায়নী পৌঁছান বার্ণপুরের ত্রিবেণী মোড় সংলগ্ন সম্প্রীতি ভবনে। প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার মিছিলে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান, রাজ্যের মন্ত্রী আসানসোল উত্তর বিধান সভার প্রার্থী মলয় ঘটক, প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ লক্ষ্মণ ঠাকুর সহ একাধিক বিদায়ী কাউন্সিলররা।
তবে দেখা যায়নি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃনমুল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রকে। প্রসঙ্গতঃ, সায়নী ঘোষ প্রার্থী হওয়ার পরে এই অশোক রুদ্র সরব হয়েছিলেন। সম্প্রীতি হলের সভায় দলের কর্মীদের এক হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান সায়নী ঘোষ। তবে
সভায় দলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, যারা এদিন আসেননি, তাদের উপর দল নজর রাখছে। দলনেত্রী যাকে প্রার্থী করেছেন, তাকে সবাইকে সমর্থন করতে হবে।
এদিকে সায়নী চলে যাওয়ার পর স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তি জল দিয়ে পরিস্কার করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনার প্রেক্ষিতে সায়নীর জবার, বিজেপির হাতে কোনও ইস্যু নেই। তাই এসব নিয়ে বাজার গরম করতে চাইছে। স্বামী বিবেকানন্দ কারোর একার নয়। তিনি সারা বিশ্বের, দেশের ও বাঙালির।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version