কলকাতা ব্যুরো: ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। যুদ্ধের ময়দানে আটকে পড়া সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে মস্কো বলে রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
রুশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পুটনিক’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘গ্রিনিচ মিন টাইম’ হিসেবে ইউক্রেনে সকাল ৬টা বা ভারতীয় সময়ে প্রায় সকাল ১১.৩০ থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। নাগরিকদের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে বেরিয়ে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা সময় দিয়েছে পুতিনের বাহিনী।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ভারতীয়। তাদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে মরিয়া মোদি সরকার। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে শেষ ভারতীয় নাগরিককে না ফেরানো পর্যন্ত চলবে ‘অপারেশন গঙ্গা’। এই মর্মে দুই পক্ষের কাছেই সাময়িক সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছে ভারত সরকার। তবে কি এবার নয়াদিল্লির আবেদনেই সাড়া দিল মস্কো?
বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, বেলারুশে যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার সুফল মিলছে এবার। পাশাপাশি, দুই ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর পরই মস্কোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে নয়াদিল্লির। জানা গিয়েছে, তৃতীয় দফায় আবারও বৈঠকে বসতে চলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এদিকে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি হওয়ায় কিয়েভ, খারকভ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা কিছুটা হলে সহজ হয়েছে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া জানিয়েছে খারকভ থেকে ভারত ও অন্য দেশের নাগরিকদের বের করে আনতে বাস তৈরি রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ইউক্রেনে এখনও দুই থেকে তিন হাজার ভারতীয় আটকে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭০০ জন সুমিতে এবং ৩০০ জন খারকিভে আটকে রয়েছেন। পূর্ব ইউক্রেনের এই জায়গাগুলিতেই মূলত সংঘর্ষ চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনার মধ্যে। তারমধ্যেই আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদভাবে বের করে আনা কঠিন চ্য়ালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়ুয়াদের প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত অবধি নিয়ে আসার জন্য বাসের ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না।