কলকাতা ব্যুরো: কেকে বিতর্কের পর আবারও স্টেজে পা রাখলেন সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। শ্রোতাদের সামনে স্বভঙ্গিমায় গান শোনালেন তিনি। তবে শ্রোতাদের কাছে কতটা গ্রহণযোগত্যতা পেলেন তিনি? গান গাইতে উঠে নিজেই খানিকটা কৌতূহল মেটালেন রূপঙ্কর।

জামাইষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পাইকপাড়ার মোহিত মৈত্র মঞ্চে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন রূপঙ্কর। সম্পূর্ণ পুলিশি প্রহরায় রবিবার সন্ধ্যায় তিনি পৌঁছন দক্ষিণ কলকাতার একটি অডিটোরিয়ামে। সেখানে হাতে গোনা কিছু শ্রোতার সামনেই পারফর্ম করেন তিনি। যদিও দর্শকাসন থেকে কয়েকটি গানের অনুরোধও করা হয় তাঁকে। শ্রোতাদের পছন্দ অনুযায়ী ‘ও চাঁদ’ গানটিও শোনান রূপঙ্কর। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন তিনি।

রূপঙ্কর বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছিল। তারপর এই অনুষ্ঠানটা খুব প্রয়োজন ছিল। আপনাদের ধন্যবাদ। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর কাছে অনুষ্ঠান মঞ্চ মাতিয়ে দেওয়াটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এবারের অনুষ্ঠান যেন কিছুটা অন্যরকম। শ্রোতাদের সামনে অবলীলায় গান শোনানোর বদলে কিছুটা যেন ইতস্তত ছিলেন রূপঙ্কর। শ্রোতাদের ফের তাঁকে সাদরে গ্রহণ করায় আপ্লুত হন শিল্পী।

এদিকে, শহর কলকাতার সংগীতপ্রেমীরাও ফের একবার প্রমাণ করলেন সংগীত সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে। এদিনের অনুষ্ঠানে রূপঙ্করকে গাইতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার মতে তোর মতন কেউ নেই।’ একইসঙ্গে শ্রোতাদের অনুরোধে তিনি গেয়েছেন, ‘ওঁ চাঁদ’ গানটিও। রবিবার সন্ধ্যাতেও তাঁর ‘ওঁ চাঁদ’ গানটির সঙ্গে নাচতে দেখা যায় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত কয়েকজন শ্রোতাকে।

উল্লেখ্য, সংগীতশিল্পী কেকের মৃত্যুর পর শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই গায়ক। তিনি বলেন, “আমার একটি লাইভ ভিডিয়ো গোটা পরিবারকে ঠেলে দেবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা, নিপীড়নের দিকে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার বাড়ির বাইরে পাহাড়া দেবে টালা থানার পুলিশ। নিয়ত হুমকি এসেই যাবে আমার স্ত্রীর ফোনে। গায়ক হিসেবে দেশে বিদেশে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, স্বীকৃতি পেয়েছি। মুহূর্তের অসতর্কতা এই রকম গনগনে এবং মারমুখি আবেগ বয়ে আনবে কে জানত তা! এত ঘৃণা, এত আক্রোশ। এটা অনেকটাই তৈরি হয়েছে আমি আমার বক্তব্য গুছিয়ে বলতে না পারার কারণে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version