কলকাতা ব্যুরো: নতুন বছরের শুরুতেই ফের বাঘের আতঙ্কে জবুথবু গোসাবা। শুক্রবারের পর শনিবার ফের দেখা গেলো বাঘের পায়ের ছাপ। সাতজেলিয়ার চরগেরির ৩-৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে পরশমণি গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। বাঘটি জায়গা পরিবর্তন করছে বলেই অনুমান বনকর্মীদের। এদিকে, এলাকা জাল দিয়ে ঘেরার কাজ চলাকালীন বাঘে হামলায় জখম এক বনকর্মী। তাঁর চোখে আঘাত লেগেছে। গোসাবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বনকর্মীকে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাঘের আতঙ্কে কাঁটা গোসাবা। সাতজেলিয়ার চরগেরি এলাকা সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে দক্ষিণরায়। দাবি, ম্যানগ্রোভের জঙ্গলেই নাকি লুকিয়ে দক্ষিণরায়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পটকা ফাটিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও শুক্রবার দিনভর হদিশ মেলেনি বাঘের।
এরপর শনিবার সকালে বাঘের আতঙ্ক যেন আরও প্রকট হয় কারণ, বাঘটি অন্য গ্রামে চলে গিয়েছে। এদিন সাতজেলিয়ার চরগেরির ৩-৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে পরশমণি গ্রামে বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া। বনকর্মীরা খবর পাওয়ামাত্রই ওই এলাকা জাল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেন। তারই মাঝে বাঘের হামলায় জখম হলেন এক বনকর্মী। তাঁর চোখে আঘাত লাগে। গোসাবা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। বনকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন প্রায় সকলেই।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কুলতলির বাসিন্দাদের ঘুম কেড়েছিল দক্ষিণরায়। শেষে গত মঙ্গলবার সকালে বনদপ্তরের ছোঁড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয় বাঘটিকে। খাঁচায় ঢোকানোর পরও দরজা খোলা থাকায় খাঁচা থেকে ফের বেরিয়ে যায় সে। বেশ কিছুক্ষণ তার গতিবিধির দিকে নজর রেখে আবার ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাঘকে খাঁচাবন্দি করা হয়। এরপর তাকে ঝড়খালি চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন বনি ক্যাম্পে রেখে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। পরে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্কে কার্যত জবুথবু গোসাবা।