কলকাতা ব্যুরো : প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জাহাজে চাপিয়ে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপে পাঠাল বাংলাদেশ সরকার। ছোট সাতটি জাহাজে শুক্রবার প্রথম দফায় ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। কুড়ি বছর আগে ওই দ্বীপে কোন জনবসতি ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ওই দ্বীপে রোহিঙ্গাদের পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো। কিন্তু তাদের আপত্তি না শুনে আজ ওই দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়া হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের।
দ্বীপটি বাংলাদেশ থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ওই দ্বীপে ১১২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বাড়ি, হাসপাতাল, মসজিদ এবং বাঁধ তৈরি করেছে। বর্ষায় আগে ওই দ্বীপ এর একাংশ জলে ডুবে যেত। তবে বাঁধ তৈরি করে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। যাওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের দুপুরের খাবার জন্য ভাত, ডিম ও মুরগির মাংস দেওয়া হয়। প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা নেওয়া হয় এবং সমস্ত রোহিঙ্গাকে একটি করে মাস্ক বিলি করা হয়।
জানা গেছে ওই দ্বীপে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ বসবাস করতে পারে। কয়েক বছর আগে মায়ানমার থেকে প্রাণের ভয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন। কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে এতদিন পর্যন্ত তারা থাকছিলেন। এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র ইচ্ছুক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যাতে ওই দ্বীপে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই পরামর্শ মানলো না বাংলাদেশ সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই দ্বীপে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সুরক্ষিত থাকবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা সেখানে গেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হবেন। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা কবে আসবেন সে কথা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। প্রথম দফায় যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসান দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হলো তা কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হলো সে বিষয়ে এখনও বাংলাদেশ সরকার নির্বাক।