কলকাতা ব্যুরো: দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা রাজধানীতে লকডাউন করতেও রাজি ৷ সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি সরকার ৷ একইসঙ্গে, আদালতের কাছে দিল্লি লাগোয়া এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ৷ দিল্লি সরকারের বক্তব্য, শুধুমাত্র রাজধানীতে লকডাউন কার্যকর করা হলে তার সুফল মিলবে না ৷ সেই কারণেই পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে তারা ৷
এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে দিল্লি সরকার ৷ তাতে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে কার্বন নির্গমনে রাশ টানতে দিল্লি সরকার সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে রাজি আছে ৷ কিন্তু এই পদক্ষেপ তখনই সফল হবে, যখন দিল্লির পাশাপাশি লাগোয়া এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন কার্যকর করা হবে।
যেহেতু দিল্লি শহর অত্যন্ত ছোট, তাই এখানে লকডাউন করা হলে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে তার সুফল খুবই সীমিত হবে ৷’’ এই যুক্তিকে সামনে রেখেই দিল্লি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘যদি দিল্লি লাগোয়া সমস্ত এলাকা এবং আশপাশের রাজ্যগুলিতেও লকডাউন কার্যকর করা হয়, তাহলে আমরাও রাজধানী শহরে লকডাউন জারির কথা ভাবতে পারি।’’
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে ৷ পরিস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও ৷ কেন দিল্লির এই অবস্থা হল, সেই প্রশ্ন তুলে সরকার পক্ষকে তুলোধনা করেছে আদালত ৷ বস্তুত, আদালতের তরফ থেকেই লকডাউন জারির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ৷ এরপর এনিয়ে একটি জরুরি বৈঠকও করেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷
তারপরই জানানো হয়, এক সপ্তাহের জন্য (১৫ নভেম্বর, ২০২১ থেকে টানা সাতদিন) দিল্লির সমস্ত স্কুলে সশরীরে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে ৷ বদলে অনলাইনে পড়াশোনা করবে পড়ুয়ারা ৷ পাশাপাশি সরকারি কর্মীদেরও সাতদিনের জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ তিনদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় নির্মাণ কাজ ৷ উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া দিল্লিবাসীকে দূষণ বাগে আনতে সাইকেল ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন ৷ এসবের মধ্যেই শীর্ষ আদালতে লকডাউন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল দিল্লি সরকার।