কলকাতা ব্যুরো: সিবিআই বা এনআইএ, নাকি রাজ্যের সিট-গণহত্যায় শেষ পর্যন্ত কারা করবে তদন্ত, শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটায় সেই রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার টানা তিনঘন্টা সওয়াল জবাব চলে হাইকোর্টে এই তদন্তের ভার নিয়ে কারণ গনহত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে হাইকোর্ট। তারই মধ্যে অবশ্য হাফ ডজনের বেশি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রী বাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ করলেও রায়দান স্থগিত রাখে।
এদিন শুনানিতে মামলা কারীদের তরফে সিংহভাগই সিবিআই তদন্ত চেয়ে সওয়াল করেন। একই সঙ্গে কেউ কেউ এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়ার দাবি জানান। মোটের উপর মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, যেভাবে শাসক দলের নেতাদের এই ঘটনায় জড়িত থাকার ইঙ্গিত রয়েছে এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দেখা গিয়েছে, তাতে রাজ্যের এক্তিয়ারের বাইরে কোন এজেন্সিকে গোটা ঘটনার তদন্ত ভার দিতে হবে। প্রয়োজনে সেই তদন্তে সরাসরি নজরদারি করবে হাইকোর্ট।
যদিও রাজ্য সরকার দাবি করে, এখনই তদন্তের হাত বদলের প্রয়োজন নেই। এদিন মামলার কেস ডাইরি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তদন্তে অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট আদালত প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখে তা ফেরত দেয় রাজ্যকে। কিন্তু রায় কি হবে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি আদালত। তাই শুক্রবার সকালে ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করলেই বোঝা যাবে এই তদন্তভার কে নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পরের দিন ১৫ মার্চ তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস এস নির্ঝরের ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে, ওই দিনই সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।