কলকাতা ব্যুরো: সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের মানুষের জন্য খুলে যাচ্ছে পুরীর মন্দিরের দরজা। ওই দিন থেকেই সব পুণ্যার্থী পুরি মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ঢুকতে পারবেন। যদিও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার মানুষকে প্রতিদিন মন্দিরে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের থেকে ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছে। এর আগে আগামী ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথমে মন্দিরের দরজা খোলার কথা ওড়িশার মানুষের জন্য।

কমিটির বৈঠকে ফির হয়েছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুধুমাত্র স্থানীয়দের জন্য মন্দিরের দরজা খোলা হবে। আর ৩ জানুয়ারি থেকে তা খোলা হবে সর্বসাধারণের জন্য। যদিও এ ব্যাপারে এখনও রাজ্য সরকারের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিদিন পাঁচ হাজার করে পুণ্যার্থীকে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। পূণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের জন্য মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। তাছাড়া মন্দিরের চারটি গেটে স্যানিটাইজার মেশিন বসিয়ে দেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। যতটা সম্ভব পুণ্যার্থী ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরো বেশ কিছুদিন চালিয়ে যেতে চায় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

শনিবার কমিটির তরফে মন্দির খোলা নিয়ে প্রাথমিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের কাছে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্যের অনুমতি পেলেই প্রায় আট মাস পরে খুলে যাবে পুরীর অন্যতম আকর্ষণ জগন্নাথ মন্দির। এর আগে পুরি মন্দির সেবায়েত থেকে শুরু করে কমিটির বহু লোকের করোনা চিহ্নিত হয়। ফলে একটা সময় মন্দিরের কাজকর্ম চালানোর নিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এখন সেই সমস্যা কাটলেও করোনার প্রভাব থাকায় এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেই কর্তৃপক্ষ মন্দির খুলতে চায়। কেননা পুরীতে একদিকে যেমন পুণ্যার্থীরা যান তেমনি একটা অংশ সমুদ্রে স্নান করতে ভালোবাসেন। এখন মন্দির বন্ধ থাকায় ভিড় আগের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই পুরীর মন্দির খুলে গেলে পর্যটকদের সেখানে যাওয়ার উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করছেন হোটেল মালিকরাও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version