কলকাতা ব্যুরো: প্রমোটিং নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে শুক্রবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আনন্দপুরের গুলশন কলোনি এলাকায়। ইট, পাথর, বোতল ছোড়া দিয়ে অ্যাকশন শুরু হয়ে পড়ে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলতে থাকে। এক পক্ষ একটি নির্মীয়মান বাড়ির পাঁচ তলার উপর থেকে লুকিয়ে গুলি চালাতে থাকে। অপরপক্ষ তার পাল্টা জবাব দিতে থাকে গুলিতে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। তাদের মধ্যে দু জনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জখমদের ন‍্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনেই সিন্ডিকেটের সদস্য। বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুরর গুলশান কলোনিতে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে। একের পর এক বহুতল গড়ে উঠেছে। যার বেশিরভাগই বেআইনি বলে অভিযোগ। দুটি গোষ্ঠী গোটা এলাকার প্রমোটিং নিয়ন্ত্রণ করে। এদের মধ্যে তাই না না ইস্যুতে গোলমাল লেগেই থাকে। এদের কিছু লোকজন তাদের ফ্ল্যাটে দেখভাল করতে যায়। তখনই হঠাৎ অপর গোষ্ঠীর লোকজন সেখানে এসে পড়ে। বিপদ বুঝে বাইরে থেকে আসা দলটি দৌড়ে একটি পাঁচতলা বাড়ির ছাদে উঠে যায়। তারপর সেখান থেকেই এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ইট বৃষ্টি, বোতল কাঁচ ছোঁড়াছুঁড়িও হয় ছাদ থেকে। গুলি চলতে শুরু করলে রাস্তার লোকজনের ছোটাছুটি শুরু করে দেন। সাধারণ পথচারীরা হাতে প্রাণ নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে।  


স্থানীয় আরেক সূত্রের দাবি, বিল্ডিংয়ে প্রোমোটিংকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছিল, মিনি ফিরোজ এবং জুলকরের গ্রুপের মধ্য। দু’জনেই তোলাবাজি ও প্রোমোটিং সিন্ডিকেট চালায়। অভিযোগ, এদিন দুপুরের জুলকরের লোকজন এসে প্রোমোটার কাছ থেকে টাকা দাবি করে। সেই খবর পেয়ে নিজের দলের লোক নিয়ে হাজির হয় ফিরোজেল দলবল। সে সময় দুই দলের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মারপিটও হয়। কিন্তু তখন জুলকরের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সবার তার ফল ফিরে দলে শুরু হয় শুটআউট।


খবর পেয়ে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। লালবাজার থেকে আসেন গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version