মৈনাক শর্মা
রাজ্যে বজ্রপাতে সোমবার মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। এই খবর সামনে আসতেই মৃতদের দুই লক্ষ্য টাকা করে ক্ষতি পূরণ ঘোষণা করে রাজ্যে সরকার। আবার সেই একই দিনে টুইট বার্তায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদীও। বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, ১,৭৭১ জনের মৃত্যুর কারণ বজ্রপাত। এর মধ্যে বিহারে ২২১ জন , ওড়িশা তে ২০০ , ঝাড়খন্ডে ১৭২ জন রয়েছে। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থাকলেও, গত বারের তুলনায় এ বছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশী।
কালবৈশাখীর আগমনের সাথেই শুরু হয় বজ্রপাত। ফলে বর্ষার আগেই পশ্চিমবঙ্গ সহ বিহার ওড়িশা ও ঝাড়খন্ডে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা। ছোটনাগপুর মালভূমিকে বজ্রপাত প্রবণ বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এখন থেকে সৃষ্টি হয় বজ্রপাতের। যা এই তিন রাজ্যে ছাড়াও বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলে। তবে বাড়তে থাকা পরিবেশ দূষণ, বাতাসে অতিরিক্ত আদ্রতাও বজ্রপাতের কারণ।
তথ্য অনুযায়ী, বজ্রপাতের সময় লম্বা গাছের নীচে আশ্রয় নেওয়ায় ফলে ৭৮ শতাংশ মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে দাড়ানো অবস্থায় ২২ শতাংশ মৃত্যুর কারণ। বেশি বজ্রপাত হওয়ার তালিকায় প্রথমে রয়েছে ওড়িশা। তালিকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয় কৃষকদের। গত পাঁচ বছরে মোট মৃত্যু হয় ১৩.৯৯৪ জন দেশবাসীর। যার ফলে ক্ষতিপরণ মেটাতে ৩৫৯ কোটি টাকা খরচ হয় কেন্দ্রের।
অ্যাপস্ -টি বিদ্যুতের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে
এবং জিপিএস বিজ্ঞপ্তি দ্বারা আপনার কাছাকাছি বজ্রপাত হচ্ছে কিনা আপনাকে সতর্ক করব।। ২০ কিমি এবং ৪০ কিমির এর নিচে।
রাজ্য সরকারের বাজ প্রতিরোধক অভিযান চালানোর পড়েও মেটেনি সমস্যা। এতো মৃত্যুর পড়েও বজ্রপাতকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়নি। এই মৃত্যু কমাতে হলে দরকার স্থানীয় বজ্রপাত নিরাপত্তা পরিকল্পনার , অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতনই এক্ষেত্রেও কৃষকদের দিতে অগ্রীম বিপর্যয় বার্তা মত বিশ্লেষকদের।
যদিও ২০১৯ সাল থেকে মৌসম ভবন বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ৮০% মৃত্যু কমানোর পরিকল্পনা করে মৌসম ভবন। দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট অবজার্ভিং সিস্টেমস প্রোমোশন কাউন্সিলকে। তারাই মৌসম ভবন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটেরোলজি ও ইসরোর নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের ঝলক গোনার কাজ শুরু করে দু বছর আগের থেকে। মূলত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর বাজ গোনা হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে নেওয়া হয় মৃতের সংখ্যা।