কলকাতা ব্যুরো: দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কয়লার এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে মহারাষ্ট্রে ১৩ সহ কয়েকটি রাজ্যে মোট কুড়িটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য ত্রিশটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মাত্র এক দিনের মত কয়লা যোগান আছে বলে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় দিল্লি, মহারাষ্ট্র রাজ্যে যেকোনো সময় ব্ল্যাকআউট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দুর্গাপুজোর উৎসবে মেতে থাকা এ রাজ্যে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। যদিও দফতরের কর্তাদের দাবি, এ রাজ্যে কোন সমস্যা এখনো পর্যন্ত নেই।
একদিকে প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন রাজ্যে কয়লা খনি গুলি জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে কয়লা তোলা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে কয়লার দাম প্রবলভাবে বেড়ে যাওয়াতে, কিছুদিন আগে থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই জ্বালানি নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে কোলিয়ারিগুলির থেকে কয়লা উত্তোলন কমে যাওয়ায় এখন শিয়রে সমন তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।


কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য এখনো বলে চলেছে, বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যার কোন কারণ নেই। পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। তবে কয়লার নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তাও মানছেন বিদ্যুৎ আধিকারিকরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে এখনই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের আমলাদের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা করার চেষ্টা করছে কিছু রাজ্য।


মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে ১৩ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করতে হয়েছে কয়লার অভাবে। হলে ৩৩৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে সে রাজ্যে। সব রাজ্যে বিদ্যুৎ কম খরচ করতে নাগরিকদের বার্তা দিচ্ছে সরকার। গুজরাটে বেশকিছু ইউনিট বন্ধ হয়েছে। পাঞ্জাব এবং দিল্লিতেও একই ছবি। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট রাজ্যগুলি উদ্বেগ দেখলেও তেমনভাবে কেন্দ্র তাতে আমল দিচ্ছে না। ফলে যদি সত্যি কোন রাজ্যে যেকোনো মুহূর্তে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়, কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়েও চিন্তিত আধিকারিকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version