কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ চারদিনের পুজো মোটামুটি ফাঁকায় ফাঁকায় কাটলেও, আজ দেবী বিসর্জন বড় চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে। কিভাবে করোনা বিধি মেনে বিসর্জন করা হবে, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেছে। নিমতলা ঘাট, বাবুঘাট, জাজেস কোর্ট ঘাট, বাগবাজার ঘাট সহ মোট চব্বিশটি ঘাট নির্দিষ্ট করা হয়েছে গঙ্গায় বিসর্জনের জন্য।
কলকাতা শহরে মোটামুটি হাজার তিনেক পুজো হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় আঠারোশো প্রতিমা আজ বিসর্জন হবে। এর একটা বড় অংশই আসবে গঙ্গায়। বাকি নির্দিষ্ট এলাকায় ঝিল বা বড় পুকুরে বিসর্জন হওয়ার কথা। কোথাও যাতে দূষণ না হয় এই বিসর্জনকে ঘিরে, সে ব্যাপারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় পুকুরগুলোতে তাই পরীক্ষামুলকভাবে এবার কিছু আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে গঙ্গায় বিসর্জন এর বিষয়টাই মাথাব্যথা পুলিশের। একদিকে গঙ্গায় স্পিডবোটে নজরদারি চালাবে পুলিশ। একই সঙ্গে রিভার ট্রাফিক গার্ড ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা নজরদারি চালাবেন। এবার বিসর্জনে ডিজে বা মাইক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ।
প্রতিমা বিসর্জনের জন্য গাড়ির সংখ্যাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এবার ঠাকুর বিসর্জনের জন্য কলকাতার কয়েকটি রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিন, উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঠাকুর গঙ্গায় নিয়ে যেতে হবে নির্দিষ্ট রাস্তা ধরেই। প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মীকে এবার নামানো হচ্ছে বিসর্জন সামাল দেওয়ার জন্য। গঙ্গায় নামার রাস্তাগুলির নজরদারির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।