কলকাতা ব্যুরো: রাত পোহালেই বর্ষশেষ আর নতুন বছরের আহবানে উদযাপন শুরু। গত আট মাস ধরে যেহেতু অনেকটাই করা অনুশাসনে চলতে হয়েছে নাগরিকদের, তাই এই উৎসবে যেন কিছুটা গাছাড়া ভাব সব পক্ষের। এর আগে হাইকোর্ট দুর্গাপুজোয় নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে বড় বিপদ ঠেকানোর ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বছর শেষে উৎসব নিয়ে মামলায় হাইকোর্ট নতুন যে রায় দিয়েছে তাতে খুব বেশি কড়া পদক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই পুলিশ প্রশাসনের।
যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ এর পরে বুধবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা ও বিধান নগরে বেশ কিছু জায়গায় নাকা চেক পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। যেসব জায়গায় পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে, সেইসব কেন্দ্রগুলিতে ঢোকার ক্ষেত্রে যাতে লাইন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের এলাকায় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার পৌঁছে দিয়েছে। লালবাজার এর বক্তব্য, যেসব এলাকায় নববর্ষ উদযাপনে ভিড় বেশি হয়, সেই সব এলাকায় থানাগুলিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। এছাড়াও পার্কস্ট্রিট, ভিক্টোরিয়া, নিউমার্কেট, ডোরিনা ক্রসিং এবং বিভিন্ন শপিংমলে– যেখানে ভিড় বেশি হয়, সেখানে জনসাধারণ যদি না পড়ে থাকেন তাহলে পুলিশকে সেই ব্যক্তিদের মাস্ক বিতরণ করতে হবে। একইসঙ্গে স্যানিটাইজার যাতে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারটা লক্ষ্য রাখতে হবে পুলিশকে। বিভিন্ন ক্লাব, বার, রেস্তোরাঁ এবং শপিংমলকে করোনা বিধি মানার জন্য পুলিশের থেকে আগাম সর্তকতা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version