কলকাতা ব্যুরো: ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর (Anis Khan Murder) ১৪৪ দিন পর আদালতে জমা পড়লো চার্জশিট। সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে রাজ্য পুলিশের সিটের তরফে চার্জশিট জমা করে। সূত্রের খবর, সেই চার্জশিটে খুনের ধারা থাকছে না। তবে রয়েছে আমতা থানার ওসি-সহ ৫ পুলিশকর্মী রায়। মৃত ছাত্রনেতার পরিবার সূত্রে দাবি, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Murder) মৃত্যু রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসনও। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয় আনিসের পরিবার। পালটা রাজ্যের তরফে কলকাতা পুলিশের সিট গঠন করা হয়। হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চও তাদের উপর আস্থা রাখে। এবার সেই সিটের তরফে চার্জশিট পেশ করা হলো।
সূত্রের খবর, সিটের চার্জশিটে আমতা থানার ওসি-সহ ৫ পুলিশ কর্মীর নাম রয়েছে। তবে খুনের ধারা (৩০২ ধারা) দেওয়া হয়নি বলেই খবর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাফিলতির জেরে মৃত্যু (৩০৪এ ধারা), অবৈধভাবে পথ আটকানো (৩৪১ ধারা), অবৈধভাবে আটকে রাখা (৩৪২ ধারা), জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করা (৪৫২ ধারা), অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০ বি ধারা) থাকছে। তবে এই চার্জশিটে খুশি নয় আনিসের পরিবার। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, মাস চারেক আগে হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর (Anis Khan Murder) ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বাড়িতে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় আনিসের। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গে কনস্টেবল, এসআই-সহ আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়।
যদিও গোড়া থেকেই সিটের তদন্তে আস্থা ছিল না আনিসের পরিবারের। তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই হত্যারহস্যের জট খুলতে আগ্রহী ছিলেন। সেই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সিটের তদন্তের উপরই আস্থা রেখেছিলেন।