কলকাতা ব্যুরো: ঢালাও আয়োজন। কে নেই ? ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সব্বাই থাকছেন। আসছে কেক, মিষ্টি , রসগোল্লার হাঁড়ি। না না আপনার জন্য না। সব পুলিশের। দিদির বড়ো ইচ্ছা। পুলিশদের সন্মান জানাবেন। তার ইচ্ছাই পূরণ হবে পয়লা সেপ্টেম্বর। সেদিন রাজ্যে পুলিশ দিবস। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই জানানো হবে সম্মান।
ওই দিন নবান্ন সভাঘরে বেলা একটায় পুলিশ বাহিনীকে সম্বর্ধনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা যুদ্ধে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার। শুধু বড়ববুরা নন। বড়ো, মেজো, সেজো করে এক্কেবারে পুলিশের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পুরস্কৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন আলো করলেও ছোটো ছোটো মন্ত্রীরা একেবারে সকাল থেকেই সাজো সাজো রবে মেতে উঠবেন। স্থানীয় থানায় যাবেন তারা এক এক জন। শোনা যাচ্ছে স্পেশাল কেক অর্ডার দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রসগোল্লার হাঁড়ির দায়িত্বে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ফুল, মিষ্টির প্যাকেট তৈরি করছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজে। সংশাপত্র বানাচ্ছেন ফিরহাদ বাবু।
গড়িয়াহাট থানার তো এলাহী ব্যাপার। তিন ফুট বাই তিন ফুট। কি বলুন তো? কেক । প্রস্তুতির অর্ডার দেওয়া হয়েছে এক নামী সংস্থাকে। সকাল এগারোটা বাজলেই হই হই পরে যাবে নিউ মার্কেট থানায়। ফিরহাদ বাবু নিজে যাবেন নিউ মার্কেট থানায় পুলিশদের সম্বর্ধনা দিতে। নিমতা থানায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ঠাকুর পুকুর থানায় মিষ্টির প্যাকেট হাতে শিক্ষা মন্ত্রী। হবে নাই বা কেনো কত কষ্ট করে সারাদিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তেনারা কাজ করেন। একটা দিন থাকবে না পুলিশের নামে। বি জে পি র কিছু নেতা না। কি দুষ্টু ! বলে কিনা পুলিশকে খুশী রাখছে। সামনে ভোট আসছে। ভারী অন্যায়।
এই যাহ। একটা কথা বলা হলো না। গান বাঁধা ও হয়েছে পুলিশদের জন্য ” পুলিশ ডে পুলিশ ডে / উই স্যালুট ইউ। গানটা দেওয়া হলো । অবশ্যই শুনবেন কিন্তু।