কলকাতা ব্যুরো: হুমকি ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপের সূত্র ধরে ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড়ের জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান ডি বাপিতে শুটআউটের ঘটনায় প্রথম গ্রেপ্তারি। বুধবার একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের নাম অভিষেক ঝাঁ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ঘটনার দিন বিরিয়ানির দোকানে আরও দু-তিনজন দুষ্কৃতী ছিল। তারাই অন্যদের খবর দিচ্ছিল। তোলা আদায়ের জন্য ভয় দেখাতেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলেই পুলিশের অনুমান। যে বাইকে চড়ে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় সেটিও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।

এবিষয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের এক আধিকারিক জানান, ব্যারাকপুর বারাসত রোড সংলগ্ন অনেকগুলি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাছাড়া হুমকি ফোন এবং মেসেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। তার থেকেই অনেকগুলি সূত্র পাওয়া যায়। সেইমতো কয়েকজন সন্দেহভাজনের উপর নজরদারি চালানো হয়। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সোমবার ভরদুপুরে বাইকে করে তিন দুষ্কৃতী মোহনপুর থানার অন্তর্গত ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এই ঘটনায় জখম হন দোকানের কর্মী এবং একজন ক্রেতা। ঘটনার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সোমবার থেকে দোকানের সামনে বসানো হয় পুলিশ পিকেট। বুধবারও পুলিশি প্রহরা ছিল দোকানের সামনে। অন্যান্য দিনের মতো ভিড় ছিল না। তবে অল্প সংখ্যক ক্রেতা বুধবার দোকানে বিরিয়ানি খেতে যান। তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি দোকানের মালিক এবং কর্মচারীদের।

ভিড়ে ঠাসা দোকানে এভাবে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণ যেতে পারত, এই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা এলাকা। বিরিয়ানি দোকানের মালিক বাপি দাসের স্ত্রী ডলি বলেন, সেই দিনটির কথা মনে করলেই গা শিউরে উঠছে। রাস্তার অন্য পাড় থেকে যেভাবে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল তাতে পথচলতি মানুষ এবং দোকানে আসা ক্রেতা, কর্মচারী অনেকেরই প্রাণ যেতে পারত। এখনও সেই ভয় কাটেনি আমাদের মধ্যে। তবে ক্রেতারাই আমাদের মনের জোর বাড়াচ্ছেন। তারাই দোকানে এসে আমাদের ভরসা দিচ্ছেন। প্রথম দু’দিন যেভাবে বিরিয়ানি বিক্রি কমে গিয়েছিল, তাতে দুশ্চিন্তা ছিল। তবে এখন বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version