জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ার এক বছর পরেও বিশ্ব রাজনীতিতে বার বার প্রশ্ন উঠছে দিল্লির নীতির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমনই এক সংস্থা অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন তার ৪৭ তম সম্মেলনে ভারতের এই নীতির বিরুদ্ধে রেসল্যুশনে সম্মতি দেয় সৌদি আরব সহ বাকি ইসলামিক দেশ গুলি। এই রেসল্যুশনে দিল্লির ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫ এ ধারাকে নিষ্ক্রিয় করার নীতিকে সমালোচনা করে। পুনরায় এই অনুচ্ছেদকে শুরু করার প্রস্তাব দেয় এই সংস্থা। শুধু তাই নয়, জম্মু কাশ্মীরের বাইরে দিল্লির দেওয়া ডোমিসাইল সার্টিফিকেটকেও সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় এই রেসল্যুশনে। ভারতের অথিতি হিসাবে অংশগ্রহণ করা ২০১৯ সালের সম্মেলনেও কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন তোলে পাকিস্তান। আর তার পরের সম্মেলনেই এইরম প্রস্তাব নিজেদের জয় বলে ধরছে ইসলামাবাদ।

কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও তার উন্নতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভারতের নিজেস্স ব্যাপার বলে আইওসির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু জি ২০ সম্মেলনের প্রকাশিত হওয়া মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীর এলাকাকে ভারতের ভূখণ্ড হিসাবে বাদ দেওয়া ও তার পরেই দিল্লির বিরুদ্ধে এমন প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া কোনো নয়া ঘটনা নয়। এর আগেও সম্মিলিত জাতি পূঞ্জেও দিল্লির নীতির বিরোধী প্রশ্ন তোলে পাকিস্তান সমর্থিত তুর্কি। আর তার সমর্থনেই আই ও সির এমন সিদ্ধান্ত বলে মত রাজনীতিবিদদের। ভবিষতেও ৩৭০ ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে পারে বলেই মানছেন তারা। কারণ এর পরের বছরের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন সম্মেলনটি আয়োজন করবে পাকিস্তান।

কাশ্মীরের সমস্যাকে বিশ্বের কাছে তুলে আপাতত নিজেদের সন্ত্রাসবাদ দমনের ব্যর্থতাকে ঢাকতে মরিয়া পাকিস্তান। দিল্লিকে চাপে ফেলতে পাশে পেতে পারে আমেরিকাকেও। কারণ আমেরিকার নব নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি জো বিডেনও বিশ্ব মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন বলেও জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আরো বহিরাগত চাপ বাড়বে ভারতের। দিল্লির প্রয়োজন এই বিষয়ে জাপান, ফ্রান্সের মতো দেশগুলিকে কূটনীতির মাধ্যমে নিজের সমর্থনে আনা, অথবা আপাতত বাহ্যিক চাপ সহ্য করে জম্মু কাশ্মীরে ও লাদাক অঞ্চলের উন্নতির মাধ্যমে পাকিস্তানের দাবিকে ভুল প্রমান করাই দিল্লির একমাত্র পথ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version