কলকাতা ব্যুরো: আগেও তিনি তালিবানকে সমর্থন করেছেন৷ কাবুল দখলের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুনিয়ার অন্য দেশগুলিকেও বার্তা দিলেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের “সঙ্গে থাকতে” ৷ আফগানবাসীর দিকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৷ আর তাঁর দেশও সব “আফগান নেতা”র সঙ্গে যোগাযোগ করছে ৷

একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল তাঁকে ফোন করে কথা বলেন এ বিষয়ে ৷ আফগানিস্তান থেকে বিভিন্ন কূটনীতিদের আর আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির কর্মীদের বের করে আনতে পাকিস্তানের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তাঁরা ৷

যদিও পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক হাত নিয়েছেন ইমরানকে ৷ তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তান তার প্রতিবেশী দেশটির দিকে আর মুখ ফেরাতে পারবে না ৷

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফরেন পলিসির প্রধান জোসেপ বোররেল জানিয়েছেন, ইইউ আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে, তবে দুটি শর্তে ৷ প্রথমত, আফগানিস্তানের সরকার যদি আফগানবাসীর মৌলিক অধিকারকে সম্মান জানায়, দ্বিতীয়ত আফগানিস্তানকে জঙ্গি গোষ্ঠীদের ব্যবহারে করতে বাধা দেবে ওই সরকার৷ দেশে তালিবানদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে ৷

রবিবার কাবুল দখলের পর এখন দোহাতে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করছে তালিবান গোষ্ঠী ৷ নতুন সরকার গঠনের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করছে ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version