মৈনাক শর্মা
অস্থির আফগানিস্তান। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪০০ তালিবানের। কিন্তু সংযুক্ত রাষ্ট্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে বিপুল সংখ্যক জঙ্গী সেনা মোতায়েন হয়েছে আফগানিস্তনে। ইউইন এর মতে, প্রতিদিন প্রায় ৬০০০ তারিক-ই-তালিবানি গোষ্ঠির জঙ্গী-সেনা পাক সীমা পেড়িয়ে ঢুকছে কাবুলে।
তালিবানি গোষ্ঠির রয়েছে দুটি আলাদা দল। একটি আফগান তালিবান, যা মূলত কান্দাহার ও আফগানিস্তনে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্য দিকে রয়েছে, তেহরিক ই তালিবান, পাকিস্থান (TTP)। এই দুটি জঙ্গি সংগঠন পাক-আফগান সীমানায় সক্রিয়। টিটিপি র লক্ষ্য, পাক সরকারকে সরিয়ে আফগান ও পাকিস্তানকে একত্রে মিশিয়ে, এক দেশ তৈরি করা। তাই বহুবার পাক সেনার অভিযানের সামনে এসেছে এই তালিবানি দল। সেনা কৌশল ও শক্তির দিক দিয়েও এগীয় পাক তালিবান গোষ্ঠী। ইউ এনের সামনে আনা তথ্য অনুযায়ী, ৪০ থেকে ৫০ হাজার জঙ্গী-সেনা রয়েছে এই দলের কাছে, যাদের একটা বড় অংশ পাক সীমা পেড়িয়ে কাবুলে ঢুকছে।
আন্তর্জতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, পাক তালিবানি শক্তিকে না রুখতে পারলে খুব সহজেই আফগানিস্তানের বিপুল জন সংখ্যাকে সেনা অভিযানে ব্যাবহার করতে পারে। আর তালিবানরা আফগানিস্থানে আধিপত্য কায়েম করলে কাবুলের উপর প্রভাব কমতে পারে ভারত, পাক ও চীনের থেকে। বিশ্লেষকদের এক অংশের মতে, কাবুলে বেড়ে ওঠা তালিবান শক্তি দিল্লির থেকেও বেশী ক্ষতি হবে পাক চিনা অর্থনৈতিক করিডোরের। একেই বিস্ফোরণে পাকিস্থানের মাটিতে প্রাণ হারায় ৯ জন চিনা ইঞ্জিনিয়ার। এখনই এই শক্তিকে রুখতে সফল না হলে বিপদ হবে পাক ও চীনের। ইতিমধ্যেই দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রী র আলোচনায় যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রস্তাব দেয় বেজিংয়ের তরফে।